স্ত্রীর অধিকার
রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) বলেনঃ
“নিশ্চয়ই তোমার স্ত্রীর তোমার
ওপর একটা অধিকার রয়েছে।” -(বুখারী, মিশকাত)
খোরাক- পোশাকের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা
স্বামীর ওপর ওয়াজিব করে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে কোন সীমা নির্দিষ্ট নেই। করতে হবে
স্বামীর সামর্থ্যনুযায়ী। আর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন
একে অধিকার বলেছেন তখন তা স্বামীর অবশ্যই আদায় করতে হবে। সে উপস্থিত থেকে, কি অনুপস্থিত।
স্ত্রীর বিপদে-আপদে, রোগে-শোকে তার প্রতি অকৃএিম সহানুভূতি প্রদর্শন করা স্বামীর
কর্তব্য। স্ত্রী রোগাক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা করা স্বামীরই দায়িত্ব।
প্রকৃতপক্ষে স্ত্রী সবচেয়ে বেশী দুঃখ পায় তখন, যখন তার বিপদে-শোকে তার
স্বামীকে সহানুভূতিপূর্ণ ও দুঃখ ভারাক্রান্ত দেখতে পায় না। এজন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্ত্রীর প্রতি দয়াবান
ও সহানুভূতিপূর্ণ হবার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্ত্রীর শোভনীয় অনুপাতে খোর-পোশ নিয়মিত সরবরাহ করা স্বামীরই কর্তব্য, যেন সে
নির্লিপ্তভাবে স্বামীর ঘর-সংসার পরিচালনা ও সংরক্ষন এবং সন্তান প্রসব ও লালন-পালনের
কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
স্ত্রীর ব্যয়ভারের কোন পরিমাণ ইসলামি বিধি-বিধানে নির্দিষ্ট সীমা নেই। বরং তা
বিচার বিবেচনার ওপরই নির্ভর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বামী- স্ত্রী উভয়ের অবস্থা
বিবেচনীয়। সচ্ছল অবস্থায় স্ত্রীর জন্যে সচ্ছল অবস্থার স্বামী সচ্ছল লোকেদের উপযোগী ব্যয়
বহন করবে। অনুরুপভাবে অভাবগ্রস্ত স্ত্রীর জন্যে অভাবগ্রস্ত স্বামী ভরণপোষণের নিন্মতম দায়িত্ব
পালন করবে।
সামর্থ্য-এর বেশী কিছু করা স্বামীর পক্ষে ওয়াজিব নয়। স্বামী যদি গরীব হয় আর স্ত্রী সচ্ছল, তাহলে
স্বামী গরীব লোক উপযোগী ভরণপোষণ দেয়ার জন্য দায়িত্বশীল।
আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেনঃ
وَعَلَى
الْمَوْلُودِ لَهُ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۚ لَا تُكَلَّفُ نَفْسٌ إِلَّا وُسْعَهَا ۚ
“আর
সন্তানের অধিকারী অর্থাৎ, পিতার উপর কর্তব্য হলো সে সমস্ত নারীর খোর-পোষের দায়িত্ব প্রচলিত
নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা করা।
কাউকে তার সামর্থাতিরিক্ত চাপের সম্মুখীন করা হয় না।” -(সূরাহ আল- বাক্বারাহঃ ২৩৩)
সন্তান ও স্ত্রীর ব্যয়ভার,
খোরাক ও পোশাক সংগ্রহ ও ব্যবস্থা করা সন্তানের পিতার পক্ষে ওয়াজিব। আর তা করতে হবে
সাধারণ প্রচলন অনুযায়ী- যা লোকেরা সাধারণত করে থাকে।
আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে জীবন পরিচালনার তাওফিক দিক। আমীন।