স্ত্রীর বা পুরুষের পায়ু পথে সঙ্গমের বিধান
কতিপয় দুর্বল ঈমানের ফাসেক লোকেরা স্ত্রী ও পুরুষদের পায়ুপথে সহবাস করে থাকে ! যা শারিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে কাবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত কাজ। নাবী সাল্লালাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম এই কাজে জড়িত ব্যক্তিদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন।
আবু হুরাইরা (রাদীয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেন,
"তার প্রতি আল্লাহ্র লানত যে তার স্ত্রী'র মলদ্বারে সঙ্গম করে " (মুসনাদে আহমাদ)
অন্য হাদিসে আছে,
"যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা নারীর মলদ্বারে সংগম করবে, আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না।" (তিরমিযী, নাসায়ী)
"যে ব্যক্তি কোন পুরুষ বা নারীর মলদ্বারে সংগম করবে, আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না।" (তিরমিযী, নাসায়ী)
কিছু খবিশ লোকদের অন্য পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ থাকে,যা
কিনা লুত(আলাইহিস সালাম) এর কওম এর মধ্যেও ছিল।এ ব্যাপারে আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা’আলা
বলেনঃ
“এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন
সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের
কেউ করেনি ? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে
গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।”(কুরআন,সূরাঃ৭,আয়াত-৮০,৮১)
“তোমরা কি পুংমৈথুনে লিপ্ত আছ, রাহাজানি করছ এবং নিজেদের মজলিসে
গর্হিত কর্ম করছ? জওয়াবে
তাঁর সম্প্রদায় কেবল একথা বলল, আমাদের
উপর আল্লাহর আযাব আন যদি তুমি সত্যবাদী হও।”(কুরআন,সূরাঃ২৯,আয়াত-২৯)
অনেক সুস্থ বিবেকবান স্ত্রী আছেন যারা এই নোংরা কাজে স্বামীকে বাঁধা দিয়ে অস্মমতি প্রকাশ করে থাকেন, কিন্তু স্বামীরা জোর-জবস্তি কিংবা তালাকের ভয় দেখিয়ে এই কুরুচিপূর্ণ কাজ করে থাকেন। আবার অনেক স্ত্রী'রা যেহেতু লজ্জাশীল, তাই এই ব্যাপারে শারিয়াতের হুকুম সমন্ধে কোন আলেমের নিকট জিজ্ঞাসা করতে লজ্জা পান। আবার অনেক স্বামী এই ব্যাপারে ধোঁকা দিয়ে তাঁদের স্ত্রীদের কে বলেন, এই কাজ হালাল ! দলিল স্বরূপ তাঁরা কুরআনে কারিমের এই আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন,
“তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্য ক্ষেত্র। অতএব তোমরা তোমাদের শস্য ক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পার।” (কুরআন, ২: ২২৩)
জাবির (রাদীয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ইহুদীরা বলত যে, যদি কেউ স্ত্রীর পেছন দিকে থেকে সহবাস করে তাহেল সন্তান টেরা চোখের হয়। তখন (তাদের এ ধারণা রদ করে) “নিসাউকুম হারসুল লাকুম” আয়াত অবতীর্ণ হয়।
ইহুদীরা বলত যে, যদি কেউ স্ত্রীর পেছন দিকে থেকে সহবাস করে তাহেল সন্তান টেরা চোখের হয়। তখন (তাদের এ ধারণা রদ করে) “নিসাউকুম হারসুল লাকুম” আয়াত অবতীর্ণ হয়।
আর এই কথা সবার জানা যে, কুরআনে কারিমের আয়াতের তাফসীর -হাদিসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন,
"স্বামীর যেভাবে ইচ্ছে স্ত্রীর সামনের দিক দিয়ে পেছনের দিক দিয়ে সঙ্গম করতে পারে, যতক্ষণ তা তার (স্ত্রীর) যোনিপথে ও প্রসবদ্বারে হবে।"
আর এই কথা অবোধ্য নয় যে, নারীর মলদ্বার এবং পায়ুপথ সন্তানাদির প্রসবদ্বার নহে ! আসলে, মানুষের এই জঘন্য পাপের অস্তিত্বর কারন হল এই যে, মানুষ বিবাহের পূর্বে কামনা পূরণের জন্য নানা রকম অশ্লীল সিনেমার সাহায্য নেয় ! আর এইসব থেকে তাওবা না করেই বিবাহের মতো পবিত্র জীবনে প্রবেশ করে এবং পূর্বেকার নোংরামি অভিজ্ঞতার মন মানসিকতার প্রতিফলন এই জীবনে প্রকাশ করায় ! অথচ, এই কাজটি যে (পায়ুপথে সঙ্গম) হারাম, তা কারো জানার বাহিরে থাকার কথা নহে ! যদিও সেটা স্বামী-স্ত্রীর উভয়ের সম্মতিক্রমে হয়ে থাকুক না কেন ! কারন উভয় পক্ষের সম্মতিতে কোন হারাম কাজ কে হালাল করে দিতে পারে না!
আল্লাহপাক যেন উনার এই ক্রোধের এবং অভিসম্পাতের কাজ থেকে আমাদের দূরে রাখেন। আমীন।
*বিঃ দ্রঃ হক কে জানার ব্যাপারে যেন আমাদের লজ্জা অন্তরায় হয়ে না দাড়ায় !
প্রখ্যাত তাবেই মুজাহিদ বলেন-
“প্রশ্ন না
করার কারনে ''লজ্জাকারী বা অহংকারী'' ইলম শিখতে পারে না।”
মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাদীয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
আবূ তালহা (রাদীয়াল্লাহু আনহু) এর স্ত্রী উম্মে সুলায়ম (রাদীয়াল্লাহু আনহা) রাসূল (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এর খিদমতে এসে বললেনঃ
ইয়া রাসূল (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্ তা’আলা হকের ব্যাপারে লজ্জা করেন না। (তাই আমিও করবো নাহ ) স্ত্রীলোকের ইহ্তিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে কি গোসল ফরয হবে? রাসূল (সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হ্যঁ।যদি তারা বীর্য দেখে।
{সহীহ বুখারি, অধ্যায়ঃ ৫/ গোসল, হাদিস নাম্বার: ২৭৮}
আয়শা (রাদীয়াল্লাহু আনহা) বলেন-
আনসারী মহিলারা দ্বীন শিখতে তাদের লজ্জা আটকে রাখেনি ।
{সহীহ বুখারী, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ অধ্যায়}
আল্লাহ
আমাদের এই ধরণের কুরুচি সম্পন্ন গুনাহের কাজ হতে বিরত থাকার তওফিক দান করুন।আমীন।