জানাযার কতিপয় মাসআলাহ।

জানাযার কতিপয় মাসআলাহ

Ø স্বামী আপন মৃত স্ত্রীকে এবং স্ত্রী আপন স্বামীকে দিবে- এটাই(অন্যের চেয়ে) উত্তম। [০১]
Ø মানুষের শিক্ষার উদ্দেশে জানাযার সূরা ও দু’আ স্বরবে পড়া যায়। [০২]
Ø সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়ে মারা গেলে বা মৃত হলে তার জানাযা পড়তে হবে এবং পিতা-মাতার জন্য দু’আ করতে হবে। [০৩]
Ø মেয়েরা আলাদা জামা’আত করে অথবা পর্দার সাথে পুরুষদের জামা’আতে জানাযা পড়তে পারে। [০৪]
Ø জানাযা লাশসহ মাসজিদের ভিতরে পড়া যায়। [০৫]
Ø বিশেষ বাক্তিদের গায়েবী জানাযা পড়া রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) হতে প্রমাণিত, ইমাম যায়লা’ঈ হানাফী (রহঃ) বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বাদশাহ নাজাশীহ ছাড়াও অন্য গায়েবী জানাযা পড়েছেন। [০৬]
Ø আত্মহত্যাকারী, বেনামাযী, চোর, ডাকাত প্রভৃতি গুনাগার মুসলমানের জানাযা ইমাম ও পরহেজগার আলেমগণ পড়াবেন না। কেবল সাধারণ মানুষ করবে। যাতে অন্য লোকেরা সাবধান হয়ে যায় ও শিক্ষা গ্রহন করে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তাদের জানাযা পড়েননি। কিন্তু অন্যদের পড়ার অনুমতি দিয়েছেন। [০৭]

[০১] আহমাদ, ইবনে মাজাহ, আবু দাঊদ, মিশকাত- হাসান, ইরওয়া।
[০২] সহীহুল বুখারী, আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী।
[০৩] আহমাদ, আবু দাঊদ, তিরমিযী সহীহ, মিশকাত।
[০৪] সহীহ মুসলিম, সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ।
[০৫] সহীহ মুসলিম, আবু দাঊদ, যাদুল মা’আদ।
[০৬] সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাত, নাসবুর রায়াহ, ফাতাওয়া ও মাসায়েল।
[০৭] আহমাদ, সহীহ মুসলিম, সুনানে আরবা’আ, যাদুল মা’আদ।

মূল সূত্রঃ মাসনূন সালাত ও দু’আ শিক্ষা
লেখকঃ  আবূ আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।