আপনার রব কে? আল্লাহ না খোদা ?


আলহামদুলিল্লাহ্‌ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ’লা রাসুলিল্লাহ।
কুরআন এ রব শব্দটি ৯৮০ বার উল্লেখিত হয়েছে।কবরে প্রত্যেক মানুষ ও জীন প্রথম যে প্রশ্নের সম্মুখিত হবে তা হল, তোমার রব কে? রব শব্দটির অর্থ অনেক। যেমনঃ
পথ প্রদর্শক, সৃষ্টি কর্তা,প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী, দয়ালু ও তওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী, মৃত্যুর পর জীবন দানকারী, বিপদ নিয়ে পরীক্ষাকারী,শস্য উত্তপন্নকারী,প্রতিদান দাতা, নির্দেশ দাতা, গোপন সংবাদ জ্ঞানসম্পন্ন, কল্যাণদাতা,নিরাপত্তা ও রিজিক সরবারাহকারী, দুয়া কবুলকারী, মানবতার হেদায়াতের জন্য নবী ও রাসুল প্রেরণকারী, বিধানদাতা,প্রশান্তিদাতা,বিজয়দাতা, জীবন ও মরনদাতা, সার্বভৌম বা সকল ক্ষমতার মালিক ইত্যাদি ।
পাঠকগণদের রব এর সঠিক পরিচয় জানার জন্য “তোমার রব কে?” লেখক-মহাম্মাদ আবু তাহের এর বইটি পড়ার অনুরোধ করা হল।
  • Ø ইসলামে যে ইলাহ বা উপাস্যের কথা বলা হয়েছে তিনি একক, অদ্বিতীয় । তাঁর কোন শরীক নেই । তাঁর ইসম যাত অর্থাৎ প্রকৃত নাম আল্লাহ । আল্লাহ শব্দটি অতুলনীয় । অন্য কোন ধাতু হতে তা উদ্ভুত নয় ।আল্লাহ শব্দটি সর্ব প্রকার সম্নন্ধরহিত একক ও অনুপম এক নাম । সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে ইসলাম ধর্মে আল্লাহ তারই নামের মধ্যেই ব্যাখ্যাত হয়ে আছেন । এমন অনুপম আল্লাহ শব্দটিকে মুসলিমরা তরক করে গ্রহন করেছে অন্য নাম খোদা ।
  • Ø খোদা শব্দটি ফারসী শব্দ, অর্থ স্বয়ম্ভু অর্থাৎ যিনি নিজেই সৃষ্ট ।আল্লাহ্‌র রসুল(সাঃ) আল্লাহ রব্বুল আলামীনের যে ৯৯টি নামের কোথা বলেছেন তার মধ্যে এ ধরনের কোন অর্থ নেই । খোদার ফারসী যে অর্থ তা আল্লাহ্‌র ৯৯ নামের মধ্যে নেই । এ ছাড়াও আল্লাহ্‌র যে সব নাম বা সিফাত কোরআন ও হাদীসে উল্লেখ আছে তার অর্থ খোদার অর্থের সাথে মিলে না । আল্লাহ তা'য়ালা নিজেকে স্বয়ম্ভু বা খোদা অর্থে নামকরন করেননি । রসুল(সাঃ) এ ধরনের কোন অর্থে আল্লাহ্‌র পরিচয় দেননি ।
খোদা শব্দের উৎপত্তি ও এর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে তা দিত্ববাদের আক্বীদা\বিশ্বাস । প্রাচীন পারসিকদের দুজন খোদা ছিল একজন মঙ্গলের, অপরজন অমঙ্গলের । খ্রিস্টানদের ত্রিত্ববাদ এবং হিন্দুদের বহুদেববাদ- এসব বাদই ইসলামের একত্ববাদের বিপরীত ।
মহান আল্লাহর অনেক সুন্দর নাম আছে । সে সব নামে তাঁকে না ডেকে অন্য সব অসংগত বা বেমানান নামে তাঁকে ডাকা বা নামকরণ করা হলে তাঁর অস্তিত্বের অমর্যাদা করা হয়, তাঁর নামের মাহাত্ম্য ক্ষুন্ন করা হয় ।
"আল্লাহ্‌র অনেক সুন্দরতম নাম আছে; সুতরাং তোমরা সে সব নামেই তাঁকে ডাকো ।" [সুরা-আরাফ, আয়াত-১৮০]

তাই মুসলিদের উচিত তাদের ইলাহকে কুরআন ও হাদিস হতে তাঁদের রবের যে সব নাম পাওয়া যায় তাই বলে ডাকা এবং সেটাই উত্তম ও উৎকৃষ্টতর । আল্লাহ সুবাহানাহু তা’আলা বলেনঃ "তোমরা কি উৎকৃষ্টতর বস্তুকে নিকৃষ্ট বস্তুর সাথে বদল করতে চাও ?" [সূরা-বাকারাহ, আয়াত-৬১]