জাদু-টোনা ও জ্বীনের প্রতিকারঃ সহীহ নিয়ম



জাদু-টোনা ও জ্বীনের প্রতিকারঃ সহীহ নিয়ম

আমরা অনেক সময় যাদু-টোনা জ্বীনের আছড়ে পড়ে যাই। এর অনেক কারন আছে, এর অনেক প্রতিকার ও আছে এমনকি এর মাধ্যমে বিভ্রান্তিও আছে। আগে দেখি পুরো বিষয়টা এক নজরে কি?

যাদু-টোনা কিঃ শয়তান ও যাদুকরদের (ফকির-পীরদের) মাঝে এমন এক চুক্তি যেখানে শয়তান "হারাম" ও "শিরক" এর বিনিময়ে যাদুকরকে সহযোগিতা করবে এবং তার কাজ করে দেবে। এটা হল, গিরা-আকদ,মন্ত্র,কিছু কবিতা,লিখা, আবজাদী সংখ্যা,জ্যামিতিক বিষ, alchemy ইত্যাদি।

একটি উদাহরনঃ ধরুন কেউ বোবা হইয়ে গেছে হঠাৎ যদি এর কোন মেডিকাল কারন না পাওয়া যা তাহলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যদি জানতে পারা যায় তাকে যাদু করা হয়েছে তাহলে এর আসল বিষয় হল"-- তাকে কোন এক চালানকৃত শয়তান আছড় করে তার জিহবার উপর ভর করে তাকে কথা বলতে দিচ্ছে না এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এভাবে যদি ব্যাক্তিটি দুর্বল ঈমানের হয় তাহলে তার ঘাড়ের শয়তান তাকে কানে ওয়াস ওয়াসা দিবে "অমুক অমুক ফকিরের কাছে গিয়ে তাবিজ বা মন্ত্র পড়া-পানি,চিনি,শরবত, ডাব আনো তাহলে ভালো হবে" -- এভাবে সে তাবিজ গায়ে দেয় আর লোকটি ভাল হয়ে যায় (মানে ঐ জ্বীন শয়তানটি তার দেহ থেকে চলে যায়)
কিন্তু লোকটির তাবিজ যদি আপনি আবার খুলে নেন তাহলে দেখবেন সে আবার অসুস্থ হয়ে যাবে কারন জ্বীনটি আবার তার কাছে শয়তানী করে চলে আসে (কেন সে তাবীজ খুললো?) এজন্য।
উপরের অবস্থাটি একটি রুপক হিসেবে পেশ করা হয়েছে।

এবার আসি, যাদু-টোনা ও জ্বীনের আছর কাদের হয় ও কেন হয়ঃ
১. সাধারনত যারা আক্বীদাগত দুর্বল এবং অন্তরে শিরকের-কুফুরীর অবস্থা থাকে তাদের এরুপ হয়।
২. সর্বদাই নাপাক অবস্থায় থাকলে।
৩. অনেক সময় ভাল ব্যাক্তিদেরও হয় শত্রুমীর কারনে।
৪. গান-বাজনা নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে।

যেসব কারনে জ্বীন আছড়ের সুযোগ পায়ঃ
১. খুব বেশি ভয় পেলে [যারা বেশি ভীতু]
২. অতিমাত্রায় রাগ হলে  [যারা বেশি রাগী]
৩. অতিমাত্রায় উদাস থাকলে
৪. মানুষ যখন নিজের মন-যুক্তির উপর চলতে থাকে তখন


চলবে.....।
আরো বিস্তারিত পড়ুনঃ
http://abrahametry.blogspot.com/2013/08/blog-post_28.html